সিনিয়র প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ বাজারে একটু বৃষ্টি হলে কাঁদাযুক্ত পানি জমে শিক্ষার্থী সহ ক্রেতা বিক্রেতা ও জনসাধারনের চলাচলে সিমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিবছর বৃষ্টির মৌসুমে বাজারের পূর্ব গলিতে রাস্তায় কাঁদা জমে একাকার হয়ে যায়। ফলে কাঁদা যুক্ত রাস্তা দিয়ে ব্যবসায়ী সহ এলাকার জন সাধারনকে বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জ ভায়া ঢাকা মহাসড়কে রানীগঞ্জ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে পানি প্রয় প্রণালী নিস্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় সামান্ন বৃষ্টি হলেই আবর্জনা ও কাঁদায় গলি সমূহ সয়লাব হয়ে যায়। পূর্ব বাজারের গলির পানি নিস্কাশনের জন্য স্থায়ী ড্রেইন নিমার্ণের প্রয়োজন। গত ৫ বছর ধরে বাজারের ড্রেইন হবে ট্রেন্ডার হয়েছে শুনা গেলেও বাস্তাবে এখনো কিছু পাওয়া যায় নাই। বাজারবাসী বার বার বলার পরও ড্রেইন নিমার্ণ করতে উদ্যোগ নেই বলা জানা যায়।
এ রাস্তায় ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয়ে বর্ষায় মৌসুমে কষ্ট করে চলাচল করেন। বাজারের পূর্ব গলিতে কোন ধরনের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থায় নেই। অন্য গলিতে ড্রেইন থাকলেও পূর্ব গলিতে ড্রেইন নেই। বিশেষ করে পূর্ব বাজারের রাস্তার পানি বিদ্যালয়ের পাশে থাকা ড্রেইন দিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ড্রেইনের মুখ ভরাট হওয়ায় পানি জমা হয়ে বাজারের দোকানে উপর চলে আসে।
বাজারে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানান, হেমন্তে শুকনো থাকে, বৈশাখ থেকে শুরু হয়ে বর্ষা মৌসুমে তার জল থাকে। এটা রানীগঞ্জ বাজারের প্রত্যেক বছরের চিত্র হয়ে দাড়িয়েছে। বাজারের পূর্ব গলির এক অংশ কুশিয়ারা নদীর পাড়। বিগত দিনে রাস্তা নিচে থাকায় ড্রেইন এর পানি নদীতে চলে যেত। বর্তমানে রাস্তা উচু হওয়ায় ও ড্রেইন ব্যবস্থা না থাকায় বাজারের দোকানে চলে আসে। যা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য দুঃখ জনক ব্যাপার।
বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা জানান, পূর্ব বাজারের ড্রেইন না থাকায় আমাদের ছাত্র/ছাত্রীগন বিদ্যালয়ে আসতে কষ্ট হয়। বিগত দিনে একটি ড্রেইন ছিল রাস্তার কাজ করানো পর ড্রেইনটি রাস্তার নিচে চলে যায়। রাস্তার কাজ করানো আগে ড্রেইন এর কাজ করানো জরুরী ছিল। ড্রেইন সমস্যা থেকে আমাদের পূর্ব বাজারের ব্যবসায়ীগন সহ কমলমতি শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এ ব্যাপারে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, পূর্ব বাজারের ড্রেইনের করতে আমাদের পরিকল্পনায় আছে। আমরা কাজের অনুমোদন পেয়েছি ও ট্রেন্ডার হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু করতে পারবো।
Leave a Reply