জামাল হোসাইন::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের নিন্মাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বাড়ী-ঘর ও মৎস্য খামার পানির নীচে তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আকস্মিক বন্যায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের পাইলগাঁও, রানীনগর, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, গন্ধর্ব্বপুর, অনন্তপুর,নারিকেলতলা, চিলাউড়া ইউনিয়নের হলিকোনা, বাউধরন, স্বজনশ্রী, কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা, জগদ্বীশপুর, কামারখাল, গলাখাই, কাদিপুর, কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও ও পাড়ারগাঁও গ্রামের নিচু এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
এরমধ্যে এসব এলাকার প্রায় ৩শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। ঢাকা-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ইছগাঁও নামক স্থানে সড়কে উপর দিয়ে পানি চলাচল করায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতেছে। গ্রামের যাতায়াতের অনেক সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
উপজেলার জনসাধারনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কুশিয়ারা সহ উপজেলার বিভিন্ন নদনদীর পানি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরে পানি প্রবেশ করায় মৎস্য খামারে মাছ হাওরে চলে গেছে। এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গ্রামীণ সড়ক পানির নীচে তলিয়ে গেছে। জনসাধারনের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
মুশলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া ইতিমধ্যে স্কুল আঙ্গিনা সহ বিভিন্ন বাড়ী ঘরে পানি উঠে পড়েছে এবং রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে । ক্রমান্বয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আকস্মিক বন্যায় আতঙ্কে আছেন জনসাধারন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, উপজেলার সকল জন-প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত আছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিত পর্যবেক্ষণ করছি।
Leave a Reply