নিজস্ব প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার অধিকাংশ রোগীর করোনার উপসর্গ না থাকা, ভ্রমণ তথ্য গোপন করা, কারও সংস্পর্শে গিয়েও প্রকাশ না করার কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন সুস্থ্য হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ জনবল সংকট নিয়ে করোনা মহামারির সময় দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রানঘাতি করোনা আতংকের মধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় দিন দিন বেড়েই চলেছে এর বিস্তার। ঝুঁকি এড়াতে বিভিন্ন পেশার মানুষ ঘর বন্দি হলেও, ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মীদের। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই থাকলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবে ঠিকভাবে রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
১জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকলেও তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়ে আবার কাজে যোগদান করেছেন। এখন মাঠপর্যায়ে যাদের দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে তারা যথাযথভাবে নমুনা সংগ্রহ করতে সমস্যা হওয়ায় পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না বলে জানা যায়।
ফলে উপজেলার থেকে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি জানার সুযোগ মিলছে না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। প্রত্যেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমপক্ষে দুজন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা। স্বাভাবিক অবস্থায় প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে এক-তৃতীয়াংশ টেকনোলজিস্ট কম থাকায় এখন জরুরি পরিস্থিতিতে খেসারত দিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ দায়িত্বে থাকা ডাক্তাররা জানান, আমরা বিভিন্ন কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু করোনা ভাইরাসে আসার পর আমরা নমুনা সংগ্রহ করতেছি। যতদ্রুত সম্ভব মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া উচিত। সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিয়ে তাদের নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠে পাঠানো হোক।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মধু সুধন ধর জানান, করোনা ভাইরাস আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাঠ পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করে ১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। তিনি সুস্থ্য হয়েছেন। এর পর নিজের ইচ্ছায় আরেকজন নমুনা সংগ্রহের কাজে আসেন।
তিনি ও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তারপর থেমে থাকেনি আমাদের কাজ আমরা প্রদিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৫ জন সুস্থ্য হয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন।
Leave a Reply