সিনিয়র প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে আবারও প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চল। প্রবল বেগে বাড়ি ঘরে ঢুকছে পানি। সেই সঙ্গে বইছে বাউরি হাওয়া। ঘরবাড়ি ঢেউয়ের আঘাতে আবারও বিধ্বস্থ হচ্ছে। সব মিলিয়ে হাওরের লোকজন ভীত বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বাড়ী-ঘর পানির নীচে তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আকস্মিক বন্যায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
গত দুই দিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ি ঢলে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের পাইলগাঁও, রানীনগর, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, আলমপুর, গন্ধর্ব্বপুর, অনন্তপুর,নারিকেলতলা, চিলাউড়া ইউনিয়নের হলিকোনা, বাউধরন, স্বজনশ্রী, কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা, জগদ্বীশপুর, কামারখাল, গলাখাই, কাদিপুর, কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও ও পাড়ারগাঁও গ্রামের নিচু এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
ঢাকা-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে ইছগাঁও নামক স্থানে সড়কে উপর দিয়ে ২য় বারের মত বন্যার পানি চলাচল করায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতেছে। গ্রামের যাতায়াতের অনেক সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এতে করে লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
উপজেলার জনসাধারনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রায় ১০দিন আগে উপজেলায় বন্যায় বড় ধরণের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। নতুন করে ফের বন্যা আসায় যেন মরার উপর খারার গাঁ। এভাবে কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আশ্রয় নেবার জায়গা খোঁজে পাওয়া যাবে না জন সাধারন।
এছাড়া গ্রামীণ রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়ায় অসহনীয় দূর্ভোগে পড়েছেন। কুশিয়ারাসহ উপজেলার বিভিন্ন নদনদীর পানি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরে পানি প্রবেশ করায় মৎস্য খামারে মাছ হাওরে চলে গেছে। এতে করে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসিয়ার পেইজ থেকে জানানো হয়েছে কোন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে বা ঘরবাড়ি তলিয়ে গেলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তথ্য ও ছবি দেওয়ার সময় সুনির্দিষ্টভাবে গ্রামের নাম এবং ইউনিয়নের নাম উল্লেখ করবেন।
প্রতিটি ইউনিয়নে দুটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান এবং মেম্বারগন এর সঙ্গে কথা বলে আপনারা আশ্রয় কেন্দ্র গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
Leave a Reply