জগন্নাথপুরের ডাক ডেস্ক::
রিজেন্ট হাসপাতালের মতো যে সব হাসপাতাল অনৈতিক কর্মকাণ্ড করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
বুধবার বিকালে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই হুশিয়ারি দেন। এর আগে সকালে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদকে গ্রেফতারের পর এ সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব।
র্যাব ডিজি বলেন, আমরা যখনই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাচ্ছি, তখনই হাসপাতালে অভিযানে যাচ্ছি। গত ১২ জুলাইও রাজধানীর একটি হাসপাতালে অভিযান হয়েছে। আমাদের অভিযান চলছে। যদি কেউ এমন অপকর্মের সঙ্গে জড়ায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমসহ প্রতিষ্ঠানের ১৭ জনের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে যে মামলাটি করেছিল, সেটি বর্তমানে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা গ্রেফতার সাহেদ করিমকে সেখানেই হস্তান্তর করব।
প্রসঙ্গত, সরকারের সঙ্গে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করা এবং ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগ ৬ জুলাই র্যাব রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়।
অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়।
পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে মো. সাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। সে মামলায় ৯ দিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হলেন মো. সাহেদ।
ওই মামলায় সাহেদকে থানার মাধ্যমে সেই সময় প্রধান আসামিসহ ৯ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আসামিরা হলেন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব ১. হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব, ২. হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।
এসব আসামির মধ্যে সাতজনকে ইতিমধ্যে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply