স্টাফ রির্পোটার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীণতম ব্যবসা কেন্দ্র রানীগঞ্জ বাজারে ১৯৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের দোসর রাজাকারদের সহায়তায় গণহত্যা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে এবং
পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় পুরো রানীগঞ্জ বাজার।
দিবসটি পালনে প্রতি বছরের ন্যায় স্থানীয়ভাবে নেয়া হয় নানা কর্মসূচী।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রানীগঞ্জ গনহত্যা দিবস উপলক্ষে রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থাপিত স্মৃতিসৌধে প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বাদ জোহর শহীদ গাজী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে রানীগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পরে ঐদিন বিকাল ৫টায় রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে পরিষদ ভবনে চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসাইনের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রানীগঞ্জ শহীদ গাজী ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আকমল হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. সুন্দর আলী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম, সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, রানীগঞ্জ ভূমি অফিসের সহকারী তহশিলদার মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিষদের মেম্বার কাউছার মিয়া তালুকদার, বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার মিয়া, ভূমি অফিসের অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম নাজির, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার সহ আরো অনেকেই।
এ সময় ইউপি সদস্যা সুহেনা বেগম, মোছা. ইয়ারুন নেছা, কিবরিয়া বেগম, সদস্য তেরা মিয়া তেরাব, মো. আলাই মিয়া, মো. নুরুল হক, আব্দুল জলিল, মিলাদ মিয়া,
মো. টিপু সুলতান, মো. কওছর মিয়া, যুদ্ধাহত পঙ্গু পরিবারের সন্তান সাদ্দাম হোসেন মায়া, বাজার ব্যবসায়ী আমির উদ্দিন ছোট,
কালাম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা গোলাম রব্বানী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনসাধারন উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাসভা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়।
দোয়া মাহফিলে শহীদদের প্রতি বিশেষ মোনাজাত পেশ করা হয়।
Leave a Reply