স্টাফ রির্পোটার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় আব্দুল হামিদ (৫০) নামের এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
সে ছাতক উপজেলার ভাঁতগাও ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত রাত ১২ টায়
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি হন কৃষক আব্দুল হামিদ । ভর্তি হওয়ার পর থেকে রোগীর অবস্থা দিন দিন শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে অবস্থা অবনতির দিকে চলে যায়।
রোববার সন্ধ্যার পর রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে প্রচন্ড যন্ত্রণায় তিনি চটপট করতে থাকেন। তখন তার স্ত্রী জরুরী বিভাগের নার্সিং রোম বন্ধ পেয়ে ডাক্তার ও নার্সদের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এক পর্যায়ে অনেকক্ষণ পর দ্বিতীয় তলায় একজন নার্সকে পেয়ে তার স্বামীকে দেখতে অনেক কাকুতি মিনতি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে রেফার্ড করার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন।
কিন্তু নার্স তার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে স্যার রাউন্ডে আসলে দেখবেন বলে পাশ কাটিয়ে চলে যান।
এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রোববার রাত ১১ ঘটিকায় সে মৃত্যুর যন্ত্রণায় চটপট করে অবশেষে মৃত্যুর খুলে ঢলে পড়েন।
তার মৃত্যুতে স্বজনদের মধ্যে বাঁধভাঙ্গা ক্ষোভ ও কান্নার রোল শুরু হলে জগন্নাথপুর হাসপাতালের তৃতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ড এর রোগীরা ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের জানালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় উপস্থিত লোকজন এর তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলেন।
একপর্যায়ে তারা ডাক্তার ও নার্সদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ মধু সুধন ধর জানান, বিষয়টি শুনে আমি নিজেই মর্মাহত হয়েছি, এই ঘটনায় একজন ডাক্তার ও চারজন নার্সকে সাময়িক ভাবে শোকজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply