সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির প্রতিবাদে মুকুটের সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রির্পোটার :
আগামী ১৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট চেয়ারম্যান পদে দলীয় শৃংখলা অমান্য করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতায় অংশ নেওয়ায় গঠনতন্ত্রের ৪৭(১১) ধারা বলে এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অনুমতি ছাড়াই নির্বাচনের অংশ নেয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কৃর্তক দলের সকল কর্মকান্ড থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের উদ্যোগে শহরের জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়নে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট।
তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা আহবান করে সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে নাকি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
প্রকৃতপক্ষে কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় কথিত ঐ জরুরী সভায় উপরিউক্ত বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি এবং কেউ আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধও করেননি।
তিনি বলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের এ ধরনের বক্তব্য নিলর্জ্জ মিথ্যাচার এবং তাদের উক্ত কর্মকান্ড অগঠনতান্ত্রিক, অগনতান্ত্রিক এবং এখতিয়ার বর্হিভূত।
আমি তাদের একক বেআইনি কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কোন সদস্য ফোনও করেননি।
কিন্তু গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ও জাতীয় নির্বাচনে চৌদ্দ দলের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধীতা করেছেন এবং গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমার আমার পক্ষে প্রচার প্রচারনায় অংশ নিয়ে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কোন মতামতের প্রয়োজন নেই।
এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতিক নাই শুধু দলের সমর্থন আছে প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপাতি খায়রুল কবির রুমেনের প্রতি।
তিনি আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী করেন বিএনপি জাতায়াত জোটের যেকোন অপতৎপরতা প্রতিরোধে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে রাজপথে কোনদিন দেখা যায়নি।
যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে আমি মুকুট মাঠে ছিলাম মাঠে আছি আগামীতে এই অপশক্তির যেকোন ধরনের অপতৎপরতা প্রতিরোধে শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে থাকার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং গত উপজেলা ও জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রকাশ্যে বিরোধীতাকারী এবং নৌকার প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন বানিজ্য করাসহ দলীয় বিরোধী শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে জেলা আওয়ামীলীগের
সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান ও সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এনামুল কবিরকে দল থেকে অব্যাহতি ও অপসারনের জোর দাবী জানান।
আগামীতে বিএনপি জামায়াতের যেকোন ধরনের নাশকতা প্রতিহত করতে আগামী কাউন্সিলে তৃণমূলের দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির গঠন করার দাবী পূর্নব্যক্ত করেন।
তিনি আগামী ১৭ই অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই পদটি উপহার দেয়ার ঘোষনাও দেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুৃনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম,সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর চন্দ্র দাস,আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.আব্দুল করিম,শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের
সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর,দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মোশারফ মিয়া,দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী,জেলা আওয়ামীলীগের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আজাদুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সিনিয়র
সদস্য সবুজ কান্তি দাস,জেলা কৃষকলীগ নেতা যথীন্দ্র মোহন তালুকদার,পাভেল আহমদ,জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অমিয় মৈত্র প্রমুখ।
Leave a Reply