স্টাফ রির্পোটার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১২টায় এ প্রচারণা শেষ হয়।
গত ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর টানা ১৪ দিন ধরে প্রার্থীরা তাদের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে অবিরাম প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেছেন।
এখন শুধু ভোট গ্রহণের পালা।
আগামি বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ভোটাররা ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।
নির্বাচনে ১জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে তিনটি ভোট দিতে পারবেন।
চেয়ারম্যান পদে ১,ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ১ এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১ জন প্রার্থীকে তাদের ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯ জন।
এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৫ হাজার ৩শ ২৩ ও মহিলা ভোটার ৯৩ হাজার ৭শ ১৬ জন।
ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৮৯টি, উক্ত কেন্দ্রের ৫শ ২৯টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমে।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী রয়েছেন।
প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেন (নৌকা), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মুক্তাদীর আহমেদ মুক্তা (আনারস), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আতাউর রহমান (মোটরসাইকেল), জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তালহা আলম (খেজুরগাছ), আওয়ামীলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস চৌধুরী লিটন (ঘোড়া) ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র (তালা), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন (মাইক) স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক কৃতি ফুটবলার সৈয়দ তুহেল মিয়া (টিউবওয়েল), বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন লাকী (টিয়াপাখি) ও উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সালেহ আহমদ (চশমা)।
সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তারা হলেন, সুফিয়া খানম সাথী (ফুটবল), রিনা বেগম (কলস), সেলিনা বেগম (হাঁস)।
সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, সোমবার রাত ১২টার পর থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘন্টা পূর্বে কোন ধরনের প্রচার প্রচারণা চালানো যাবে না। কোন প্রার্থী বা তাদের কর্মী- সমর্থক এই আইন লঙ্ঘন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply