স্টাফ রির্পোটার ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টে তাৎক্ষণিক মোটর সাইকেল অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে মোটরযান আইন অমান্য করে সড়কে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল বন্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় ।
অভিযানের খবর পৌর শহরের আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কাগজ না থাকা গাড়ীগুলো নিয়ে বেকায়দায় পড়েন মোটরসাইকেল চালকেরা।
তারা অভিযান থেকে গাড়ী ও নিজেকে রক্ষা করতে অন্য পথে পালানোর চেষ্টা করেন।
তবে অনেকেই গাড়ী নিয়ে আটকা পড়েন পুলিশের এই পাতানো জালে।
এ সাড়াশি অভিযানে প্রায় ৫০ টি গাড়ী আটকালেও কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে, এমন মোটর সাইকেলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে কাগজপত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে না পারা সন্দেহভাজন ২২ টি গাড়িকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে ।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জগন্নাথপুরের ডাককে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে কাগজপত্র বিহীন মোটরসাইকেল আটকে অভিযানে নেমেছি। যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই, সেটাও দেখা হচ্ছে। মোটরযান আইন অমান্য করে যারা এসব গাড়ি চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে অভিযান সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি মোটর চালকদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন।
থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার বলেন, কাগজপত্র না থাকা গাড়ী আটক করতে স্যার (ওসি) অভিযানে নামেন। অভিযানে ২২টি মোটরসাইকেল আটক করে থানায় আনা হয়েছে। পরিক্ষা-নিরীক্ষার পর আইনি প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথপুর উপজেলায় আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল, রেজিষ্ট্রেশন না থাকা ও কাগজবিহীন এসব গাড়ী অবৈধভাবে সড়কসহ হাট বাজারে প্রকাশ্যে চলাচল করে আসছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড়ালো কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন না করায়, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কম দামে কেনা এসব কাগজবিহীন মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল করে আসছিল।
এসব গাড়ীর বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে তেমন কোন মামলাও হচ্ছিল না।
এমন সময়ে সড়কে শৃঙ্খলা ও আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে মাঠে নামলেন ওসি মোঃ মিজানুর রহমান।
Leave a Reply