স্টাফ রির্পোটার ::
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জন প্রার্থী বেশ জুড়েসুরে নির্বাচণী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান শুরু থেকেই একা একা নিরভে প্রচারণা চালিয়ে যান ।
ফলে তার সাথে জাতীয় পার্টির কোন নেতা কর্মীকে দেখা না যাওয়ায় জনসাধারণের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।
জাপার প্রার্থী আতাউর রহমান আলতাব নিজেই নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ও মাঠে নেই এমন বিষয়ে গণমাধ্যমে তার ব্যাক্তিগত নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন । যার কারণে জাতীয় পার্টির প্রবীণ এ নেতা পত্রিকার শিরোনামও হন। এতে ক্ষুব্ধ হন জাপার সিনিয়র নেতারা।
মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তার একলা নীতি ও নানা কর্মকান্ডের কারণে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
বহুল প্রচারিত একাধিক জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে যখন নানা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়, তখনই নড়েচড়ে বসেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা।
আগামী ২৫ মে নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল (২২ মে) সোমবার মাঠে বেশ সরগরম হয়ে উঠে জাতীয় পার্টির প্রচার প্রচারণা।
সকাল থেকে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং এর মাধ্যমে নির্বাচণী মাঠে ২ দিন আগে যেন জাপার হ্যাট্রিক।
সাধারণ ভোটারদের প্রশ্ন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আছে, আমাদের জানা ছিলনা। আগ থেকে মাঠে কাজ করলে এরশাদের দল জাতীয় পার্টি ভাল ফলাফল করতো। এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির ভোট ব্যাংক রয়েছে।
উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল ও পৌর শহরে ভোটারদের কাছে লাঙ্গল মার্কা খুবই জনপ্রিয়।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতাউর রহমান আলতাব নেতাকর্মীদের সাথে কোন সমন্বয় না করায় তারা নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় নামেননি।
অবশেষে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে জাতীয় পার্টির ভাবমূর্তি রক্ষায় হটাৎ সোমবার সকালে প্রচারণায় নামেন জগন্নাথপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া।
তিনি নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রথমে জগন্নাথপুর ডাকবাংলা রোড থেকে শুরু করেন প্রচার প্রচারণা।
এ সময় প্রচারণায় অংশ নেন পৌর জাতীয় পার্টির বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে মাইকিং ও পৌর শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শুরু হয় লিফলেট বিতরণ। এরপর থেকে পাল্টে যায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীর হিসাব-নিকাশ।
রাত ৮ টায় ৬ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সভা ও পরে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ৫ নং ওয়ার্ডে গনসংযোগ করেন জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া।
এদিকে দিনব্যাপী ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় হটাৎ সরগরম হয়ে উঠে জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা। ফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর খবরে ভোটারদের মধ্যে বাড়তি আমেজ দেখা দেয়।
বর্তমানে জাতীয় পার্টিতে নেতৃত্ব সংকট থাকায় দলটি পড়েছে চরম বেকায়দায়। বিশেষকরে দলটি মহাজোটে থাকায় জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে তাদের কোন প্রার্থী না থাকায় ক্রমশঃ সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি।
তবে পার্টির অনেক কর্মী জানান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।মূলত এ উপজেলায় তিনিই এখন জাতীয় পার্টির রাজনীতি ধরে রেখেছেন। আমরা তার রাজনৈতিক অনুসারী।
অবশেষে তিনি লাঙলের প্রচারনায় নামায় নেতা-কর্মীদের কিছুটা বাঁধ ভেঙেছে বলেও তারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া বলেন, প্রার্থী কি কারণে ঘরে বসেছিলেন তা আমার জানা নেই। নেতাকর্মীদের মধ্যে মান অভিমান এখনো আছে এটা সত্য, তবে জাতীয় পার্টি ও প্রিয় প্রতীক লাঙ্গলের ভাবমূর্তি রক্ষায় সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
Leave a Reply