স্টাফ রির্পোটার :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জলমহাল কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভা চলাকালীন সময়ে উগ্র আচরনের অভিযোগ উঠে উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালনের বিরুদ্ধে।
তার এহেন আচরণের কারণে এ সময় হঢ্রগোলের সৃষ্টি হয়।
জানাগেছে, বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকায় জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয়।
সভায় আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওরা খাল টেন্ডার নিয়ে আলোচনা হয়।
এই টেন্ডারে ছোট শেওরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে।
তবে একটি মহল এই টেন্ডারে অংশগ্রহণ না করার জন্য নানান ভাবে ছোট শেওরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি’কে বিভিন্ন ভাবে চাপসৃষ্টি ও হুমকি দিয়ে আসছিল বলে জানা যায়।
জলমহাল কমিটির সভায় জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন উত্তেজিত হয়ে অশালিনভাবে বক্তব্য রাখলে জলমহাল কমিটির সদস্য অনুকুল সরকার এর প্রতিবাদ জানালে তাদের মধ্যে হঢ্রগোলের সৃষ্টি হয়।
এ সময় আবুল হোসেন লালন অনুকুল সরকারের প্রতি মারমুখি আচরন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি শান্ত হয়।
জলমহাল কমিটির সদস্য অনুকুল সরকার বলেন, আমি জলমহাল কমিটির সদস্য ভাইস চেয়ারম্যান লালন (অস্থায়ী চেয়ারম্যান) অতিথির আসন থেকে তিনি আমাকে মারতে আসেন, আমি এই উগ্র আচরণের প্রতিবাদ করলে তিনি (অস্থায়ী চেয়ারম্যান) তার বসার চেয়ার নিয়ে আমাকে বার বার মারতে আসেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে ক্ষমতার অপ-ব্যবহার ও
এ ধরনের উশৃংখল আচরণ মেনে নেওয়া যায়না।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয় বলেও তিনি জানান।
সভায় উপস্থিত জগন্নাথপুর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন (অস্থায়ী চেয়ারম্যান) উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় সাধারণ মানুষের সাথে যদি এ ধরনের উগ্র আচরণ করেন,তাহলে বাকি সময় তিনি জনগণের সাথে কি রকম আচরণ করেন বুঝতে পারছিনা।
আশার কান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও জলমহাল কমিটির সদস্য মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়,
পরে আমরা দুইজনকে মিলিয়ে দেই।
চিলাউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, ঘটনাটি সত্য তবে আমরা সাথে সাথে মিলিয়ে দিয়েছি দু’জনকে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী ভুমি রিয়াদ বিন ইব্রাহীম ভুঁইয়া সা-আধ, কলকলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক মিয়া, উপজেলা মৎস্য অফিসার আক্তারুজ্জামান, পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ, সমবায় অফিসার রাজ মনি সিংহ, জলমহাল কমিটির সদস্য হরিপদ দাস।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুল ইসলাম বলেন, এ রকম ঘটনা আমার জানা নেই।
এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালল বলেন, কথা কাটাকাটি হয়েছে এটা সত্য, তবে সভায় এ বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এমন আচরণ করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন মারা গেলে তিনি অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান।
দায়িত্ব পালনকালে আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েন আবুল হোসেন লালন।
এর পরও এমন আচরণের একাধিক ঘটনার জন্ম দেন লালন । যাহা সর্বমহলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সূত্রপাত ঘটে ।
Leave a Reply