স্টাফ রির্পোটার : :
জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত দুই সহোদরের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
গুরুতর আহত দু’জনের অবস্থাই আশংকাজনক বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার লতিফপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে মোঃ ফরিদ আহমদ ও একই থানার বানিউন গ্রামের মোঃ আমীর উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের আহমদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত বিরোধ নিস্পত্তিকল্পে গত ১৮ আগষ্ট বিকেলে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় পাশ্ববর্তী সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার পাইলগাও ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ বাজারস্থ ইংল্যান্ড প্রবাসী মুক্তার উদ্দিনের বাসভবনে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উশৃংখল প্রকৃতির প্রতিপক্ষ ফরিদ আহমদ বৈঠকে জুবায়ের আহমদকে প্রকাশ্যে দেখে দেয়ার হুমকি দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে উপস্থিত পঞ্চায়েতবর্গ উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দিয়ে বৈঠকের কাজ মুলতবি ঘোষণা করেন।
বৈঠকের প্রায় ১০ মিনিটের মাথায় রাত অনুমান ৮ টায় জুয়েল আহমদ ও তার ছোট ভাই জুবায়ের আহমদ স্থানীয় ইনাতগঞ্জ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গেলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষ ফরিদ আহমদের নেতৃত্বে, হাবিবুর রহমান সহ তার লোকজন দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুয়েল আহমদ ও জুবায়ের আহমদের উপর প্রকাশ্যে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
এ সময় প্রাণরক্ষার্থে ও রক্তাক্ত অবস্থায় জুয়েল (২৮) ও জুবায়ের (২৪) পাশ্ববর্তী জুমন স্টোর নামক একটি দোকানে ঢুকলে সেখানে ঢুকেও ফিল্মি স্টাইলে তাদেরকে রামদা ও ছুরিকাঘাত করে মূহুর্তেই পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
এ সময় হামলাকারীদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও তান্ডবলীলায় বাজার এলাকায় জনসাধারনের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আহতদের আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুবায়েরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে জগন্নাথপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশিস ধর ও জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে আহতদের ভাই প্রবাসী রাহেল আহমদ বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় আমার ভাইদের উপর আঘাত করা হয়েছে। আমার ভাইয়েরা বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আসামিরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় আমার পরিবারের অন্য সদস্যরাও চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছেন।
আমি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে আহতদের ভগ্নিপতি মোঃ রিপন আহমদ বাদী হয়ে মোঃ ফরিদ আহমদকে প্রধান আসামী করে ৪ জন ও অঙাতনামা আরো ৪/৫ জন উল্লেখ সহ জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা ১১ তারিখ ২০/০৮/২০২৩ ইং।
Leave a Reply