স্টাফ রির্পোটার ::
জগন্নাথপুরে এক কৃষকের মালিকানা ভূমি থেকে বিভিন্ন জাতের ১৫ টি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রামের একটি শক্তিশালী ভূমিখেকো চক্রের মদদে এবং ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে গাছগুলো কেটে নেয়া হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
ফলে ভুক্তভোগী এই কৃষক আইনের সহযোগিতা কামনা করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও জগন্নাথপুর থানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ নং রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গছিখাই প্রকাশিত ইছগাঁও (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত হানিফ উল্লার ছেলে বর্গাচাষি মোঃ সুন্দর আলী গছিখাই মৌজার এস এ ১২৩ বা আর এস ১০৬ নং দাগের ৯৬ শতক ভূমিতে ১৯৭৬ ইং সন হইতে ক্রয়সূত্রে মালিক ও দখলকার হিসাবে বিদ্যমান থাকাবস্থায় তার অজ্ঞতার কারণে ভূল বশতঃ সেটেলমেন্ট জরিপে ফাইনাল রেকর্ড সরকারের ১ নং খতিয়ানে চলে গেলে গ্রামের একদল স্বার্থনেষী মহল উক্ত ভূমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।
বিষয়টি জানতে পেরে ভূমি মালিক সুন্দর আলী রাষ্ট্র পক্ষকে বিবাদী করে সুনামগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা নং ৭৩/ ২০২১ ইং দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে মামলার বাদী সুন্দর আলীর পক্ষে সহকারী জজ আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে গত ২৪/০৮/ ২০২৩ ইং সকাল ১০ টায় একই গ্রামের মৃত ছাদ্দেক মিয়ার পুত্র রমজান মিয়া, মৃত মজিদ উল্লার পুত্র রহিম উল্লাহ ও করিম উল্লাহ সহ একদল দুষ্কৃতিকারী উক্ত ভুমি দখলের উদ্দেশ্যে ভূমিতে থাকা ছোট বড় ১৫ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পান।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছদরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি আপোষে সমাধান করতে চেয়েছিলাম কিন্তু গ্রামের লোকজন সারা দেয়নি।
সুন্দর আলী উক্ত ভূমির মালিক হিসাবে মাননীয় আদালত যে রায় দিয়েছেন, এর বাহিরে যাওয়ার কারো সুযোগ নেই।
গ্রামের আলা উদ্দিন নামের একজন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, এ নিউজ না করাই ভাল। উক্ত ভূমি কখনো তিনি (সুন্দর আলী) নিতে পারবে না।
গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি গয়াছ মিয়া বলেন খরিদসূত্রে এই ভূমির মালিক ও দখলকার সুন্দর আলী। শুনেছি ভুমিগুলো সরকারের খতিয়ানে চলে গিয়েছিল। মামলা গেয়ে তিনি মালিকানা ফেরত পেয়েছেন। গ্রামের কিছু সংখ্যক লোক কেন তাকে হয়রানি করছে আমার জানা নেই তবে ভূমি থেকে গাছগুলো কেটে নেয়া হয়েছে এটা সত্য।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক সুন্দর আলী বলেন, আমি একজন নিরিহ ও অসহায় মানুষ।
আমার একমাত্র খরিদা সম্পদ ভুল বশতঃ ১ নং খতিয়ানে চলে যাওয়ায় সহকারী জজ আদালতে মামলা করে আমি আমার অধিকার ফিরে পেয়েছি কিন্তু গ্রামের একটি ভূমিখেকো চক্র আমার ভুমিগুলো দখল করে নিতে চায়। তারা জোরপূর্বক আমার রোপনকৃত ১৫ টি গাছ কেটে ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামছাড়া করে আমার খরিদা ও দখলীয় ভূমি তাদের দখলে নেয়ার পায়তারা করছে। বর্তমানে উশৃংখল প্রকৃতির বিবাদীদের হুমকি জনিত কারণে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
Leave a Reply